ডেস্ক নিউজ:

শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আগের নির্ধারিত কোটা বাতিল করা হয়েছে, তবে বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার ব্যবস্থা উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এবিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সভার সভাপতিত্ব করেন।

এ নীতিমালা অনুযায়ী, এবার শতভাগ আসন মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। তবে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর যদি কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার কোটার আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত হিসাবে নির্ধারিত কোটায় ভর্তি করা যাবে।

একজন শিক্ষার্থী কমপক্ষে ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন এবং এসএমএস উভয় পদ্ধতিতেই আবেদন করা যাবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আগামী ১৩ মে থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আবেদনের শেষ সময় ২৪ মে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতিপুতি, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদ, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দপ্তরগুলো ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বিকেএসপি এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য মোট ১১ শতাংশ নির্ধারিত কোটা সংরক্ষিত ছিল।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিসহ সব ধরনের কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন যাবত আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু এখনো তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পায়নি।